এজিএম*ও*ফ্যামিলি*ডে*২০২৩
৭ জানুয়ারী ২০২৩, শনিবার ঢাকা কলেজ ‘৮৯ ফাউন্ডেশনের এজিএম ও ফ্যামিলি ডে অংকন রিসোর্ট, খাসেরচর, সিংগাইর, মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়।
আমাদের এজিএম ও মিলনমেলার অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কৃতিত্ব অংশগ্রহণকারী সবার। অংশগ্রহণকারী বন্ধুদের সবার যার যার লেভেলে অংশগ্রহণ ও কো-অর্ডিনেশনই অনুষ্ঠানটিকে সফল ও প্রানবন্ত করেছে। তবে এজন্য কয়েকজনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ না করলেই নয়।
গত ইসি মিটিংয়ে যখন এই অনুষ্ঠান অর্গানাইজ করার জন্য আমাদের গ্রেট দুই অর্গানাইজার কাজল জালালি ও খান রানার সাথে রূপম ও আমার নাম দিয়ে কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়, তখনই আমি ভিরমি খেলাম! ভাবলাম – এই দুই সুপার স্টারের সাথে ঠান্ডা মাথার রূপম আর আমি কি করবো? এর পরের সিদ্ধান্তে আমি পুরোই তব্দা মেরে যাই- সবাইকে নিয়ে আমাকেই নাকি অনুষ্ঠানটি কো-অর্ডিনেট করতে হবে। আমি মিন মিন করে না বলতে চাওয়ায় খান রানা ও কাজল বললো, তুই শুধু সামনে থাক- আমরা আছি।
রূপম ও আমি ফিল্ডে নেমে সাথে পাই পূর্ববর্তী অনুষ্ঠানগুলোর সফল সংগঠকদের কয়েকজনকে- রাশেদ হাবিবুল্লাহ, গ্রেট মহসিন, মামুন (মার্দি গ্রা)সহ আরো অনেককে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনাক্রমে ও রাশেদ, মহসিনদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে কাজ শুরু হয়- যারা অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যস্ত থেকেছে।
এছাড়াও পর্দার অন্তরালে থেকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেছে – বন্ধু রাফাত, রনি, টিটু, আলেকজান্ডার ইকবাল, আজহার টিটুসহ অন্যান্য বন্ধুরা। নাস্তা ও লাঞ্চের সময় সাদেক যেভাবে শ্রম দিয়েছে – আমারই বিভ্রান্তি হচ্ছিল খাবারের দ্বায়িত্বে মামুন না-কি সাদেক।
এবার আসি পর্দার অন্তরালের আরো কিছু হিরোর কথায়- যাদের কন্ট্রিবিউশন অনুষ্ঠান স্মুথলি রান করার জন্য সবচেয়ে দরকারী ভূমিকা রেখেছে। সাইফ শুধু সোয়েটার ও টুপিই দেয়নি, স্পট ভাড়া থেকে শুরু করে সন্ধ্যায় বার-বি- কিউ পার্টি, আতশবাজি ইত্যাদির স্পন্সরও আমাদের স্বল্পভাষী কিন্তু গুড ম্যানেজার সাইফ, সাথে অবশ্যই ওর পার্টনার আমাদের ইংল্যান্ড প্রবাসী বন্ধু মামুনের সার্বিক নজরদারীতো ছিলই।
মামুনের (মার্দি গ্রা) সাথে যখন খাবারের মেন্যু নিয়ে আলাপ করছিলাম, তখনি ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বললো – খাবারের বিল আমরা কমবেশি যা দেই, নাস্তার স্পনসর ও নিজে করবে! টোটাল মেন্যুই স্পেশাল ছিল, তন্মধ্যে নাস্তাটা কেমন ছিল- সেটা যারা উপস্থিত ছিল না, তারা…. ! তারা নিশ্চয়ই কিছু একটা মিস করেছে।
বড় একটা সমস্যা ছিল – আমাদের ট্রান্সপোর্ট। সভাপতি মাহফুজ বললো – আমি আপাতত একটা কোস্টারের ব্যবস্থা করছি, এরপরে প্রয়োজন হলে বলিস। ভাবলাম – চান্স যখন পাইছি, এবার প্রেসিডেন্টের কাছে “কামান” চাইবো। কিন্তু বাঁধ সাধলো কর্নেল ডাঃ সালেক। ও একাই আমাদের যাতায়াতের জন্য আরো পাঁচটি কোস্টারের ব্যবস্থা করে প্রেসিডেন্টের মতো ভারিক্কি চালে বললো, আরো লাগলে বলিস!
র্যাফ্ল ড্র- এর পুরস্কারের জন্য কয়েকজনকে নক করলাম – প্রত্যেকেই সাথে সাথে রাজি, উল্টো আমরাই ভড়কে গেলাম। বন্ধু আলীমুজ্জামান, ডাঃ ইমু, খান রানা, ইমদাদ, আরমান, মুরাদ জং, ব্যারিস্টার ভাস্কর – এরা রাজী হওয়ার পরে আমরাই ক্ষান্ত দিলাম। বাকীদেরকে পরবর্তী অনুষ্ঠানের জন্য রিজার্ভে রাখলাম।
সাধারণ সম্পাদক আশরাফ অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এজিএম ও বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরির কাজেও ব্যস্ত ছিল। কাজের ফাঁকে আমরা আরো খেয়াল করতেছিলাম – সফল ব্যবসায়ী থুক্কু স্বঘোষিত কৃষক সভাপতি মাহফুজ কিভাবে সবাইকে নিয়ে সুন্দর ও সুচারুভাবে অনুষ্ঠানটি গুছিয়ে নিচ্ছিলো!
-ডা: নাজমুল হুদা বিপ্লব
(আয়োজক কমিটির পক্ষে)