এজিএম*ও*ফ্যামিলি*ডে*২০২৪

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার ঢাকা কলেজ এইসএসসি ‘৮৯ ফাউন্ডেশনের এজিএম ও ফ্যামিলি ডে’র প্রোগ্রাম সায়ান রিসোর্ট, সিংগাইর, মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রোগ্রামটি সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কৃতিত্ব অংশগ্রহণকারী সবার। এবং অবশ্যই অনুপস্থিত সেইসব বন্ধুদেরও- যারা মনেপ্রাণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চিন্তা করেছে, অনুষ্ঠান নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেছে, পরামর্শ দিয়েছে এবং এমনকি আর্থিক সহযোগিতাও করেছে। কিন্তু অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে সেদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেনি।

আসলে উপস্থিত ও অনুপস্থিত বন্ধুদের যার যার লেভেলের কো-অর্ডিনেশন ও অংশগ্রহণের মাধ্যমেই অনুষ্ঠানটি সফল ও প্রাণবন্ত হয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে বরাবরের মতো কয়েকজনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ না করলেই নয়।

কাগজে-কলমে সার্বিক দায়িত্বে আমার নাম থাকলেও আদতে আমি ডাক্তার- আলাভোলা আদমী, রোগী দেখাই যার কাজ। তবে আমার কপাল ভালো- আবারো সঙ্গে পেয়েছি বিশেষ কয়েকজন সংগঠক বন্ধুকে। সেই সফল সংগঠকদের কয়েকজন অপরিসীম মানসিক ও কায়িক পরিশ্রম করে অনুষ্ঠানটিকে উঠিয়ে এনেছে। তার মধ্যে অন্যতম আমাদের বন্ধু ধীরস্থির ও একনিষ্ঠ নূর হাসান রুপম, অলরাউন্ডার আমজাদ আলী মহসিন, সাথে অবশ্যই ফুল-টাইমার অভিজ্ঞ রাশেদ হাবিবুল্লাহ। আর আমাদের একজন মামুন চৌধুরী আছেতো- যার কারণে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনকালেই চিন্তা করতে হয় না। এছাড়াও প্রকাশ্য ও পর্দার অন্তরালে থেকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে বন্ধু হুমায়ুন, আলেক্সান্ডার ইকবাল, আজমগীর টিটু, রাফাত-সহ অন্যান্য বন্ধুরা।

বরাবরের মতো পর্দার অন্তরালের হিরোদের কথা না বললেই নয়- যাদের বিনা আওয়াজের কন্ট্রিবিউশন অনুষ্ঠান রান করার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। সাইফ ও মামুন বরাবরের মতো এবারেও তাদের গার্মেন্টস থেকে আমাদের ও ভাবিদের জন্য গিফটের ব্যবস্থা করেছে। ওদের আগ্রহ ও প্ল্যান অনুযায়ীই অনুষ্ঠানটি হঠাৎ করে রঙ্গিনও হয়ে যায়।

ট্রান্সপোর্টের ব্যাপারে গতবারের অভিজ্ঞতায় এবার আর কোন চিন্তাই করি নাই। জানি আমাদের বন্ধু কর্নেল ডা: সালেক একাই একশো। তবে এবার ট্রান্সপোর্টের গাড়ি সরবরাহে সালেকের পাশাপাশি বন্ধু ডা: রবিউল ইসলাম রানাও হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর সাইফ-মামুনের কাছ থেকেতো, যখন যা প্রয়োজন, সব সহযোগিতাই নিয়েছি। এমনকি ওদের অফিসের লোকজনকেও ফুলটাইম খাটিয়েছি।

এছাড়াও বাজেটের ঘাটতি পূরণ ও র‍্যাফেল ড্র-য়ের পুরস্কারের জন্য অতীতের অভিজ্ঞতায় এবারও কয়েকজনকে নক করেছিলাম- যারা এবারেও বলার সঙ্গে সঙ্গেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ডা: আব্দুস সামাদ আলীম ইমু- যে গতবারের মতো এবারেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা স্বত্বেও বিশেষ কাজে আটকা পড়ায় উপস্থিত হতে পারে নাই। সহযোগিতা করেছে বন্ধু আমিনুল হক শাহিন- সেও অফিসিয়াল কাজে সিলেট থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারে নাই। এছাড়াও বরাবরের মত এবারও সক্রিয় সহযোগিতা করেছে বন্ধু ইমদাদুল হক, কাজী আরমান, মাকসুদুর রহমান, খাঁন রানা, আরিফুর রহমান ভাস্কর, মইনুল জলিল চৌধুরী অনুপ, ইন্জিনিয়ার মামুন ও ভ্যাটবন্ধু আলীমুজ্জামান।

সাধারণ সম্পাদক আশরাফ অন্যান্য কাজের পাশাপাশি যথারীতি এজিএম ও বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরির কাজেও ব্যস্ত ছিল এবং অত্যন্ত সফলতার সাথে সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে। তবে সবচেয়ে অবাক বিষয় হলো সভাপতির ভূমিকা। এতদিন শুধু শুনেই আসছিলাম- ‘পর্দার অন্তরালে কলকাঠি নাড়া’। এবার তার বাস্তব প্রমাণ দেখলাম। সভাপতি মাহফুজ পর্দার অন্তরালে থেকে যার যার দ্বায়িত্ব উঠিয়ে আনার ব্যাপারে যে কারিশমা দেখিয়েছে, তাতে বুঝেছি- কপাল বা ভাগ্য নয়, যোগ্য পরিচালকদের কল্যাণেই ব্যবসা সফল হয়।

-ডা: নাজমুল হুদা বিপ্লব
(আয়োজক কমিটির পক্ষে)